
ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ হলো ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ। রোজ ডে, প্রপোজ ডে, চকলেট ডে, প্রমিজ ডে, হাগ ডে এবং কিস ডে, তারপর আসে ভ্যালেন্টাইনস ডে। ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের চতুর্থ দিনে টেডি ডে পালিত হয়।
আমরা জানি, টেডি বিয়ার হলো এক ধরনের নরম পুতুল বা খেলনা, যা সাধারণত বাচ্চারা বা বেশির ভাগ মেয়েই পছন্দ করেন। কিন্তু ভ্যালেন্টাইনস উইকে কেন টেডি ডে পালন করা হয়, জানেন কি?
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন জানাচ্ছে, বিশ শতকে টেডি বিয়ারের উৎপত্তি। একবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি থিওডোর রুজভেল্ট বনে শিকার করতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী হল্ট কোলিয়ার। সেখানে একটি আহত কালো ভাল্লুককে দেখে রাষ্ট্রপতির হৃদয় গলে যায় এবং তিনি ভাল্লুকটিকে হত্যা করতে অস্বীকার করেন।
এরপর দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় রাষ্ট্রপতির উদারতার একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছিল, যেটি কার্টুনিস্ট ক্লিফোর্ড বেরিম্যান এঁকেছিলেন। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিটি দেখে ব্যবসায়ী মরিস মিকটম একটি বাচ্চা ভাল্লুকের আকৃতিতে একটি পুতুল তৈরি করেন। পুতুলটি তাঁর স্ত্রী ডিজাইন করেছিলেন এবং তাঁরা ওই পুতুলের নাম দেন টেডি।
আসলে এই খেলনাটির নাম টেডি রাখার একটি মজার কারণ রয়েছে। খেলনা ভাল্লুক তৈরির ধারণাটি দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট। রুজভেল্টের ডাকনাম ছিল টেডি। এই পুতুলটির নাম তাই টেডি দিয়ে রাষ্ট্রপতিকেই উৎসর্গ করা হয়েছিল। যদিও তাঁর নামে পুতুলের নামকরণ করার আগে রুজভেল্টের অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল।
টেডি বিয়ার সতেজতা, সুখ এবং নিরাপত্তার অনুভূতি নিয়ে আসে। টেডি নরম এবং সুন্দর, যা দেখে ভালোবাসার আরও ইচ্ছা বেড়ে যায়। একই সঙ্গে টেডি তৈরিও করা হয় উদারতা, ভালোবাসা ও সহানুভূতি দিয়ে। তাই ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে টেডি ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশের দারুণ সুযোগ করে দেয়।
আবেগ প্রকাশের জন্য টেডি বিয়ারের নকশা ও রঙের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। লাল রঙের টেডি হৃদয়ের রঙিন ভালোবাসা প্রকাশের প্রতীক। গোলাপি টেডি বন্ধুত্বের প্রতীক।