২৮ জুন ২০২৫

কুয়াশা কী, গ্রীষ্মে কুয়াশা দেখা যায় না কেন

কিশোর ডাইজেস্ট ডেস্ক
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:৫৫
কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত

কুয়াশা হলো ভূমির সংস্পর্শে থাকা মেঘমালা। বাষ্পাবস্থায় জল স্বচ্ছ ও অদৃশ্য থাকে। বায়ু যত উষ্ণ হয়, এর গতিশক্তিও তত বাড়ে এবং বেশি পরিমাণে জলের অণু বাষ্পে পরিণত হয়। প্রচুর জলীয় বাষ্পযুক্ত উষ্ণ বাতাস হঠাৎ ঠাণ্ডা হয়ে গেলে জলের অণুগুলো খুব বেশি ধীরগতির হয়ে পড়ে; বাষ্পাকারে থাকতে পারে না। এর ফলে জলীয় বাষ্পগুলো তরল ক্ষুদ্র ফোঁটায় রূপান্তরিত হয়। তবে জলের ফোঁটাগুলো তখনও যথেষ্ট হালকা হওয়ায় বাতাসে ভেসে থাকতে পারে, এটাই কুয়াশা।

কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে শিশুরা। ছবি : সংগৃহীত

গরম বাতাসের জলীয় বাষ্প ধারণক্ষমতা বেশি, ঠাণ্ডা বাতাসের কম। শীতকালে সারা দিন সূর্যরশ্মির তাপে মাটি ও বাতাস গরম হয় এবং বেশি জলীয় বাষ্প ধারণ করে। সন্ধ্যার পর বায়ুমণ্ডল ঠাণ্ডা হয়ে আসে। তখন বাতাসের অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প বাতাসের ধুলোবালির সঙ্গে মিশে কুয়াশার আকার ধারণ করে। কিন্তু গ্রীষ্মকালে বাতাস গরম থাকে। তাই তার জলীয় বাষ্প জমাট বাঁধার সুযোগ নেই। এ কারণে শীতে কুয়াশা দেখা যায় আর গ্রীষ্মকালে কুয়াশা দেখা যায় না।

সর্বাধিক পঠিত