১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

চীনের প্রাচীরের দেয়াল নষ্ট হয় না কেন?

কিশোর ডাইজেস্ট ডেস্ক
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩০
চীনের মহাপ্রাচীর। ছবি : উইকিপিডিয়া

বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্যের তালিকায় গ্রেট ওয়াল অব চায়না বা চীনের মহাপ্রাচীর অবশ্যই উল্লেখযোগ্য। বলা হয়, চীনের প্রাচীর মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থাপত্য। শত শত বছর ধরে এই প্রাচীর অটুট হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই অতি বিশাল কর্মযজ্ঞ যেমন বহু বছরের পরিশ্রমে তৈরি হয়েছিল, তেমনই যা তৈরি হয়েছিল তা আজও তার গরিমা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে। কিন্তু কীভাবে?

জানা যায়, চীনের মহাপ্রাচীরের মূল অংশের নির্মাণ শুরু হয়েছিল প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ২০৮ সালের দিকে। নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন চৈনিক বা চাইনিজরা কিন সাম্রাজ্যের সময়। চীনের প্রথম সম্রাট কিন সি হুয়াং এটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন এবং শত্রুর হাত থেকে নিজের সাম্রাজ্যকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ করে নির্মাণ করেছিলেন। এটি চীনের প্রাকৃতিক বাঁধাগুলো ছাড়া অন্যান্য অঞ্চল পাহারা দেওয়ার কাজে এবং উত্তর চীনের উপজাতি সুইং নুর বিরুদ্ধে এটি প্রথম স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।

হান, সুই, নরদান এবং জিং সাম্রাজ্যের সময়ের ইতিহাসেও যে কারণে তারা এটি তৈরি করেছিলেন ঠিক একই কারণে চীনের প্রাচীরের পরিবর্ধন, পরিবর্তন, সম্প্রসারণ, পুনঃনির্মাণের উল্লেখ আছে। এ নিয়ে নানা মতও আছে।

ভারতের ওয়েবসাইট নীলকণ্ঠের প্রতিবেদন বলছে, খোলা আকাশের নিচে চীনের গরম, বর্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবই এ প্রাচীর সামলে চলেছে অবলীলায়। তবু চীনের প্রাচীরের দেয়াল নষ্ট হয় না। তা যেমন ছিল প্রায় তেমনই থেকে যায়। কীভাবে তা সম্ভব হচ্ছে?

চীনের মহাপ্রাচীর দেখতে প্রতিবছর হাজারও দর্শনার্থী ভিড় করে। ছবি : গেটি ইমেজেস

এখানে মনে হতেই পারে যে তার রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে। যদি তা-ই হয়, তাহলেও তো তা কিছু বছর ধরে হচ্ছে। তার আগে কীভাবে তা নিজের জায়গায় একই রয়ে গিয়েছিল বছরের পর বছর। সে রহস্যের উন্মোচন হলো এবার।

প্রায় দুই হাজার ২০০ বছর পুরোনো চীনের প্রাচীর নিশ্চয়ই এমনভাবে তৈরি নয় যে তা প্রাকৃতিক ক্ষয় থেকে নিজেকে এতকাল রক্ষা করতে পারবে। তবু তা রক্ষিত হয়েছে। যার পেছনে রয়েছে শ্যাওলা ও বিশেষ ধরনের ছত্রাক। এরাই এতকাল ধরে ক্ষয় থেকে রক্ষা করেছে চীনের প্রাচীরকে।

বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে চীনের প্রাচীরের অনেক জায়গায় পাতলা শ্যাওলা ছত্রাকের চাদর রয়েছে। যাকে বলা হয় বায়োক্রাস্ট। এটাই এতকাল ধরে সবার অলক্ষ্যে রক্ষা করে এসেছে চীনের প্রাচীরকে।

আগামী দিনেও এরা এই ঐতিহাসিক প্রাচীরকে রক্ষা করে চলবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একদল গবেষক গবেষণা চালিয়ে চীনের প্রাচীরের এই হাজার হাজার বছরেও অক্ষত থাকার রহস্য উন্মোচন করেছেন।

সর্বাধিক পঠিত