২৮ মে ২০২৫

নতুন এক্স-৫৯ সুপারসনিক বিমানের বৈশিষ্ট্য কী

কিশোর ডাইজেস্ট ডেস্ক
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৩
এক্স-৫৯ সুপারসনিক বিমান। ছবি : নাসা

নাসা এবং মার্কিন মহাকাশ সংস্থা লকহিড মার্টিন সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্থার এক্স-৫৯ কিউস্ট সুপারসনিক বিমানের সূচনা করেছে। অত্যন্ত নিখুুঁত ডিজাইন করা হয়েছে এই আকাশযানের। শব্দের চেয়েও দ্রুতগতিতে উড়বে এটি। চলতি বছরের শেষের দিকে এই বিমানের প্রথম উড্ডয়ন হতে পারে।

স্পেস এজেন্সির কুইস্ট মিশনের লক্ষ্য, এক্স-৫৯-এর বিপজ্জনক সোনিক বুম তৈরি না করে সুপারসনিক গতিতে উড়ে যাওয়ার ক্ষমতা প্রদর্শন করা। এই মিশনে বিমান ওড়ার সময় বিমানের দ্বারা উৎপন্ন যে শব্দ সেটা নিয়ে জনসাধারণের কী প্রতিক্রিয়া সেটাও সংগ্রহ করা হবে। এই প্রতিক্রিয়াগুলো নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে ভাগ করা হবে, যারা তারপর স্থলপথে সুপারসনিক ফ্লাইটের ওপর বর্তমান নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য নতুন শব্দভিত্তিক বিধিগুলো বিকাশের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

নাসার বরাতে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, এক্স-৫৯ শব্দের গতির ১.৪ গুণ গতিতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ৯২৫ মাইল প্রতি ঘণ্টার সমতুল্য। এর নকশা, কাঠামো এবং প্রযুক্তি কম শ্রবণযোগ্য সনিক থাম্প উৎপাদন করার সময় বিমানটিকে এই গতি অর্জন করতে সক্ষম করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

একক পাইলট দ্বারা পরিচালিত, ৯৯.৭ ফুট দীর্ঘ, ২৯.৫ ফুট চওড়া বিমানটি একক জেট ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হয়। এর মনোনীত গবেষণা গতি ম্যাক ১.৪ ও এটি ৫৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে।

নাসা পরীক্ষামূলক এক্স-৫৯ ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করতে চায়, যা স্থলপথে সুপারসনিক উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করার নিয়মাবলীর পুনর্মূল্যায়নের দিকে পরিচালিত করতে পারে।

এক্স-৫৯ প্রোটোটাইপের পরিবর্তে একটি পরীক্ষামূলক বিমান হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এর প্রযুক্তিগুলো শান্ত সুপারসনিক বিমানের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকাশকে অবহিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এক্স-৫৯-এর পাতলা চ্যাপ্টা নাক এর দৈর্ঘ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জুড়ে রয়েছে।