
বালিশ ছাড়া আমাদের কি চলে? ঘুমানোর সময় তো মাথার বালিশ, কোলবালিশ দুটোই পছন্দ তোমাদের। কিন্তু তুলা দিয়ে ব্যাটারি তৈরি করা যেতে পারে, এমনটা ভেবেছ কখনও? অবাক হলেও ঘটনা কিন্তু সত্য। তুলা দিয়ে ব্যাটারি তৈরি করা যেতে পারে!
বিবিসির খবর, জাপানের ফুকুওকার কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশেষ ধরনের ব্যাটারি তৈরি করছে পিজেপি আই লিমিটেড। ব্যাটারি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় লিথিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ খনি থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এতে পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়ছে। আর তাই তুলা থেকে সংগ্রহ করা কার্বন ব্যবহার করে ব্যাটারি তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এই ব্যাটারিতে অ্যানোডের জন্য কার্বন ব্যবহার করা হচ্ছে।
ব্যাটারিতে দুটি ইলেকট্রোড দণ্ড ব্যবহার করা হয় যার মধ্য দিয়ে চার্জ করার কণা আয়ন প্রবাহিত হয়। ব্যাটারি চার্জ করার সময় আয়ন একদিকে সরে যায়, আর অন্যদিকে যন্ত্রে শক্তি প্রদান করে। বেশির ভাগ ব্যাটারি গ্রাফাইটকে অ্যানোড দণ্ড হিসেবে ব্যবহার করে। পিজেপি আইয়ের নতুন এ পদ্ধতি বেশ আলাদা ও টেকসই। তারা টেক্সটাইল শিল্পের বর্জ্য তুলা ব্যবহার করে অ্যানোড তৈরি করছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এই ব্যাটারির ক্ষমতা সাধারণ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির তুলনায় ১০ গুণ বেশি। এই ব্যাটারি ২০২৫ সালে বাজারে পাওয়া যাবে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ইনকেতসু ওকিনা বলেন, ‘আমরা বেশ গোপনীয়ভাবে ব্যাটারি তৈরি করছি। ব্যাটারির উপাদান,পরিবেশ সব গোপন রাখছি। প্রায় তিন হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আমাদের ব্যাটারির সেল তৈরি করা হয়। প্রতিটি ব্যাটারি সেলের জন্য কার্বন প্রয়োজন হয় মাত্র ২ গ্রাম। ১ কেজি তুলা থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ২০০ গ্রাম কার্বন সংগ্রহ করা যায়।’
শক্তিশালী ব্যাটারির বিপুল চাহিদা থাকলেও কার্যকর ব্যাটারি নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। লিথিয়াম আয়ন ও গ্রাফাইট ব্যাটারি বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তাই দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশবান্ধব ও টেকসই বিকল্পের সন্ধান করছেন গবেষকেরা।