
ফিট থাকার সবচেয়ে সহজ উপায় হতে পারে সাইকেল চালনা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিদিন সাইক্লিং ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিষণ্নতা, চাপ ও উদ্বেগ কমাতে পারে। আমাদের দেশের তরুণরা এখন সাইক্লিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। ফেসবুকভিত্তিক কয়েকটি সাইক্লিং সংগঠনও গড়ে উঠেছে। যানজট এড়িয়ে অল্প সময়ে শুধু গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্যেই নয়, স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও সাইক্লিংয়ের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সাইকেল যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি তেমনি পরিবেশের জন্যও উপকারি। অনেকেই শুধুমাত্র আনন্দের জন্য সাইকেল চালান। এর উপকারিতাগুলো জানার পর আপনার উৎসাহ নিশ্চয়ই আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাইকেল চালানোর অভ্যাস করুন। জেনে নিন সাইক্লিংয়ের ৫ উপকার।
নিয়মিত সাইক্লিং ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ নিয়ম করে অন্তত পক্ষে আধাঘণ্টা সাইকেল চালালে হজমশক্তি বেড়ে যায়। ক্যালোরির খরচ বেশি হয়। এর ফলে শরীরের মেদ ঝরতেও সময় লাগে না। জোরে সাইকেল চালালে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৪৯৮ থেকে ৭৩৮ ক্যালোরি খরচ হয়।
নিয়মিত সাইক্লিং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
চিকিৎসকদের মতে, সাইকেল চালানো খুব ভাল শরীরচর্চা। এই অভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, ফলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমে এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়।
নিয়মিত সাইক্লিং ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
নিয়মিত সাইকেল চালালে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে। সাইকেল চালানোর সময়ে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছালে বাড়তে থাকে শ্বাস-প্রশ্বাসের হার। যা ফুসফুস সংলগ্ন পেশিগুলোকে মজবুত করে তুলতে সাহায্য করে।
নিয়মিত সাইক্লিং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে
কেবল শরীরের নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও এই অভ্যাসটি দারুণ কার্যকর। একাকিত্ব, মানসিক চাপ, উদ্বেগ যেন কমবেশি সবাইকে ঘিরে ধরেছে। নিয়মিত সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তুললে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি সম্ভব। এতে মন থাকে প্রফুল্ল।
নিয়মিত সাইক্লিং ক্যানসার প্রতিরোধী
বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, নিয়মিত সাইকেল চালালে ক্যানসারের মতো মরণরোগের ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়। গবেষকদের দাবি, কেউ যদি নিয়মিত সাইকেল চালান, তা হলে তার ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। যত বেশি সাইকেল চালানো যায়, এই আশঙ্কা তত কমতে থাকে।