
পিরিয়ড বা মাসিক শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে থেকে অনেক মেয়ের ক্ষেত্রেই কিছু মানসিক পরিবর্তন দেখা যায়, যা খুব দ্রুত বদলাতে থাকে। প্রতি মাসের নির্দিষ্ট এই সময়ে অস্বস্তি, রাগ, খিটখিটে মেজাজ থেকে শুরু করে মানসিকভাবে একদম ভেঙেও পড়ে অনেক মেয়ে। নারীবিশেষ সেরোটোনিন হরমোনগুলো কিছু ব্রেইন কেমিক্যালকে কমিয়ে মুডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। পিরিয়ডের সময় সেরোটোনিনের মাত্রা কমে গেলে হতাশা, বিষণ্ণতা, অস্থিরতা তৈরি হয়। যা থেকে শুরু হয় মেজাজ খিটখিটে ভাব।
আসুন, পিরিয়ডের সময় মেজাজ খিটখিটে হওয়ার কিছু কারণ সম্পর্কে জেনে নিই—
পেটে ব্যথা
পিরিয়ডের সময় অনেক মেয়েরই কিছুক্ষণ পরপর পেটে ব্যথা অনুভূত হয়। তাতে করে তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
খাবারে অনীহা
পিরিয়ডের সময় অনেক খাবারেই দুর্গন্ধ অনুভূত হওয়ায় খেতে মন চায় না। কিন্তু খিদে থেকেই যায়। এর ফলে মেজাজও খিটখিটে থাকে।
আয়রন ক্ষয়
পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে প্রচুর আয়রনের ক্ষয় হয়। এর ফলে শরীরে দুর্বল অনুভূত হয় এবং মেজাজও ভালো থাকে না।
স্বাভাবিক জীবনে পরিবর্তন
পিরিয়ডের সময় মেয়েদের স্বাভাবিক জীবনে অনেকটাই পরিবর্তন আসে; যেমন জীবনযাত্রা, কাজের চাপ, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি। এর ফলে মুডেও পরিবর্তন আসে।
গা-হাত-পা ব্যথা
পিরিয়ডের সময় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথার অনুভূতি হয়। হাত-পা-আঙুলসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা অনুভূত হওয়ার ফলে কিছু ভালো লাগে না। এতে মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়।
মাথাব্যথা
পিরিয়ডের সময় অনেকের দীর্ঘক্ষণ ধরে মাথাব্যথা চলতে থাকে। এর ফলে মেজাজও খিটখিটে থাকে।
শরীরে দুর্বলতা
পিরিয়ডের সময় অনেকেরই খাবার খেতে ভালো লাগে না। আবার অনেকেরই কিছু কিছু খাবার খেতে গেলে দুর্গন্ধ অনুভূত হয়, যার ফলে খাবার খেতে মন চায় না। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে।