দক্ষিণ কোরিয়ার ১৮তম কে-পপ একক শিল্পী সাই।
ছবি : সংগৃহীত
কে-পপ ইন্ডাস্ট্রিকে গ্লোবাল তকমা দিয়েছিল ‘গ্যাংনাম স্টাইল’ গানটি। মনে পড়ে সেই কোরীয় র্যাপার সাইয়ের বিখ্যাত নাচের ভঙ্গির কথা? ২০১২ সালের ১৫ জুলাই ইউটিউবে প্রকাশের পর দক্ষিণ কোরিয়া ছাপিয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল গানটি। সোয়া চার মিনিটের এই ভিডিওতে সাইয়ের অদ্ভুত নাচের ভঙ্গি বিশ্বজুড়ে আলাদাভাবে নজর কেড়েছিল।
সেই সময় গানের ভিডিওটি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন দর্শকেরা। ঝড়ের গতিতে বাড়ছিল ভিউ। সেই ধারাবাহিকতায় ১০ বছরের মাথায় এবার ৫০০ কোটিবার ভিউয়ের রেকর্ড গড়েছে গানটি। বিশ্বজুড়ে কে-পপকে জনপ্রিয় করে তোলার পেছনে গানটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রথম কোনও কে-পপ গান হিসেবে এটি বিলবোর্ডের হিট ১০০ গানের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। ইউটিউবে প্রকাশের পর প্রথম কোনও ভিডিও হিসেবে মাত্র ১৫০ দিনের ব্যবধানে ১০০ কোটি ভিউয়ের রেকর্ড করেছিল।
২০১৭ সালে বিলবোর্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘গ্যাংনাম স্টাইল’ নিয়ে গায়ক ও র্যাপার সাই বলেছিলেন, ‘আমি এখনও বুঝতে পারছি না গানটি কেন বিশেষ। এটা বুঝতে পারলে আবারও করতাম।’ গ্যাংনাম মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের একটি অভিজাত শহর। আর এই শহরের বাসিন্দাদের চাকচিক্যময় স্টাইল হলো গ্যাংনাম স্টাইল।
দক্ষিণ কোরিয়ার ১৮তম কে-পপ একক শিল্পী সাই। তাঁর ষষ্ঠ স্টুডিও অ্যালবাম সাই ৬ (ছয় বিধি)-এর প্রথম একক অ্যালবাম, পর্ব ১ হিসেবে ‘গ্যাংনাম স্টাইল’ ২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল। রিলিজের পর গ্যাংনাম জ্বরে কেঁপেছে পুরো বিশ্ব। শুধু সংগীতপ্রেমীরাই নয়, টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ফিলিপাইনের কারাবন্দিরা, চীনের জনপ্রিয় শিল্পী আই ওইওই, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, চীনা রোবট, বলিউডের নায়ক অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানসহ মহাতারকাদের অনেকে গ্যাংনাম জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এমনকি এই গান নিয়ে বানানো হয়েছে অসংখ্য প্যারোডি ভিডিও।
