বর্তমান সময়কে বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করছেন। ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে সেসব ভিডিও পোস্ট করেন কিছু ভিউ এবং ফলোয়ার পাওয়ার আশায়। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি বহু মানুষ আয়ের প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে। তবে লাখো ক্রিয়েটরের ভিড়ে সবাই কি সফল হন?
আদতে সফল হন মুষ্টিমেয় কয়েকজনই। মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেন তাঁরা। আর তাঁদের সাফল্যের মূল রহস্য হলো অনন্যতা। অন্যের চেয়ে আলাদা হওয়ার ক্ষমতা। আর এভাবেই প্রতি সপ্তাহে ১২০ কোটি টাকার বেশি আয় করছেন এক চীনা তরুণী। অবাক করা ব্যাপার হলো, তিনি তৈরি করেন মাত্র তিন সেকেন্ডের ভিডিও!
টিভি নাইন বাংলার প্রতিবেদন আরও জানাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিড়ে এভাবেই নিজস্বতা তৈরি করেছেন চীনের ঝেং জিয়াং জিয়াং। সারা বিশ্বে যেসব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম চলে, চীনে তা চলে না। চীনের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এই রকমই একটি হলো দউইন। এই মাধ্যমে ঝেংয়ের ৫০ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে। আর এই বিপুল সংখ্যক ফলোয়ারকে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মোহিত করেন ঝেং। তাঁর এই বিস্ময়কর ক্ষমতার জোরেই তিনি এই অবিশ্বাস্য আয়ে পৌঁছেছেন।
অধিকাংশ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা অনেক সময় নিয়ে তাঁদের প্রচার করা পণ্যগুলোর প্রতিটির বিশদ বর্ণনা দিয়ে থাকেন। নিজেদের কনটেন্টকে সমৃদ্ধ করতে অনেক কৌশল অবলম্বন করেন। কিন্তু ঝেং হেঁটেছেন সম্পূর্ণ উল্টো পথে। তিনি তাঁর প্রচার করা পণ্যগুলো দেখান মাত্র তিন সেকেন্ডের জন্য।
ঝেংয়ের একজন সহকরী আছেন। লাইভ স্ট্রিম চলাকালে তিনি একটি কমলা বাক্স থেকে বিভিন্ন পণ্য এক এক করে ঝেংয়ের হাতে হাতে তুলে দেন। তারপর ঝেং সেই পণ্যগুলো তিন সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় সামনে দেখান। ওই তিন সেকেন্ডে পণ্যটির দাম, তার ব্যবহার ইত্যাদি জানিয়ে দেন।
অতি অল্প সময়ে দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতার কারণেই ঝেং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের জগতে আলাদা জায়গা করে নিতে পেরেছেন আর আয় করছেন কোটি কোটি টাকা।