১২ অক্টোবর ২০২৪

অফিসে নিজেকে ভালো রাখবেন যেভাবে

কিশোর ডাইজেস্ট ডেস্ক
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪০
অফিস মানেই ব্যস্ততা, নানা ধরনের কাজের চাপ। ছবি : ফ্রিপিক

অফিস মানেই ব্যস্ততা, নানা ধরনের কাজের চাপ। এই ব্যস্ততায় নিজেকে ভালো রাখা বা নিজের দিকে একটু তাকিয়ে দেখার সময়ও হয় না। আর ভালোভাবে কাজ করতে হলে নিজেকেও ভালো রাখতে হবে। অফিসে প্রত্যেকেই নানা চাপ সামলে টিকে থাকে। আপনাকেও সেই লড়াইয়ে শামিল হতে হবে। অফিসে কাজের যতই চাপ থাকুক, নিজের জন্যও কিছু সময় রাখতে হবে।

মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক মানুষের স্বভাব আলাদা। কেউ কেউ সবার সঙ্গে মিশতে ভালোবাসে। আবার হুট করে অন্যের সঙ্গে মিশতে চান না অনেকেই। তবে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা খুব মিশুকে হওয়া সত্ত্বেও কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন।

কর্মক্ষেত্রে ভালো বন্ধু না পেলে মানসিক সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে একাকিত্ব ঘোচানোর বা কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক থাকার বেশ কিছু নিয়ম মানতে হয়। অফিসের বেশ কিছু লোক এমন হয় যে তাদের আশেপাশে কী ঘটছে তা তারা জানে না। একবার সিটে বসলে তারা আর উঠতে চায় না। এই অভ্যাস একেবারেই ভালো না। কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে উঠতে হবে চা-কফি খেতে হবে বা সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলতে হবে। এতে মন-মেজাজ ভালো থাকে।

দিনের বেশির ভাগ সময় অফিসেই কাটে, তাই অফিসকে আরেকটি পরিবার বললে ভুল হবে না। অফিসের সবার সঙ্গে যতটা সম্ভব ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করুন। যে কোনও কাজে প্রয়োজন হলে তাঁদের পরামর্শ নিন। এক্ষেত্রে আপনার কাজটি সহজ হবে এবং তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কও ভালো হবে। সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলে নিজেকে ভালো রাখা সহজ হয়ে যাবে।

কর্মক্ষেত্রে কাউকে অপমান করা উচিত নয়। জুনিয়র হোক বা সিনিয়র, সবাইকে সব সময় সম্মান করুন। এতে কখনও কোনও সমস্যার মুখে পড়তে হবে না। তবে কর্মক্ষেত্রে বড় কোনও সমস্যা হলে অবশ্যই ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। খুব বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হলে কখনও মুখ ব্ন্ধ করে রাখা উচিত নয়।

টানা কাজ করে যাবেন না। মনে রাখবেন, যন্ত্রেরও বিরতির প্রয়োজন হয়। আপনি যদি একটানা কাজ করতে থাকেন, তবে একটা সময় বিরক্তি লাগতে শুরু করবে। তখন কাজে মন দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। তাই কাজের মাঝে বিরতি নিন। পাঁচ-দশ মিনিটের জন্য কাজ বন্ধ রাখুন। এতে নিজেকে অনেকটাই চাপমুক্ত মনে হবে।

যে কোনও পরিস্থিতিতে সব সময় সহজ থাকতে হবে। আমরা যা আশা করি, তা নাও ঘটতে পারে। অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে হতাশ না হয়ে নমনীয় থাকতে হবে। কোনও কাজ পারলেন না কিংবা পারছেন না, খুব সহজে শেয়ার করুন। খুলে বলুন। কোনও কিছুতেই চাপ নেওয়া দরকার নেই। আবার এর মানে এই নয় যে বেখেয়ালে থাকবেন। শুধু চাপ না নিয়ে নমনীয় হয়ে যান। তাহলে দেখবেন মানসিক চাপ অনেকটা কমে গেছে।

কাজ জমিয়ে রাখলেই বিপদ। কারণ জমে থাকা অতিরিক্ত কাজের চাপই আপনার ধকল আর দুশ্চিন্তার মূল কারণ। চেষ্টা করুন যেদিনের কাজ সেদিনই সেরে ফেলতে। কাজ একদমই জমিয়ে রাখবেন না। বাড়ির সময়টুকু বাড়িতেই দিন, অফিসের কাজ সেখানে না নিয়ে যাওয়াই ভালো।

কাজের সময় যতটা পারবেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। যত সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় দেবেন ততই কাজে ব্যাঘাত ঘটবে এবং মনোসংযোগ নষ্ট হবে।

কাজের ক্ষেত্রে যে কাজগুলো না করলেও চলে সেগুলোকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন। তার বদলে যে কাজ আপনাকে করতেই হবে সেগুলোকে আগে শেষ করুন। এতে আপনি চাপমুক্ত থাকবেন।